০১.পরমাণুতে এক শক্তিস্তর থেকে
অপর শক্তিস্তরে ইলেকট্রন স্থানান্তরের ফলে শক্তির বিকিরন বা শোষন ঘটে। এর ফলে
সৃষ্টি হয় বর্ণালী। বিভিন্ন মৌলের নিজস্ব বৈশিষ্ট্যমূলক বর্ণালী রয়েছে। বর্ণালী
নির্দিষ্ট তরঙ্গ রেখা দেখে মৌল সনাক্ত করা যায়। এর সাহায্যে যেমন জাল কারেন্সি নোট
বা পাসপোর্ট সনাক্ত করে প্রতারনা রোধ করা যায় তেমনি চিকিৎসা শাস্ত্রেও এর ব্যাপক
ব্যবহার রয়েছে।
ক) তড়িৎ চুম্বক বর্ণালী কি?
খ) বর্ণালীর উৎস বুঝিয়ে লিখ।
গ) UV রশ্মির
তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কত? গুণগত বিশ্লেষণে UV রশ্মির ভূমিকা কি একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্র উল্লেখ করে
ব্যাখ্যা কর।
ঘ) MRI কী ?
দূরারোগ্য রোগের চিকিৎসায় ইহা কিভাবে প্রয়োগ করা হয়।
০২. একটি রঙ্গিন লবণ পানিতে
অদ্রবনীয় হলেও লঘু HCl এ তা দ্রবনীয় এ দ্রবনের একাংশে পটাশিয়াম ফেরোসায়ানাইড
দ্রবন যোগ করা হলে বাদামী অধঃক্ষেপ পরে। আবার দ্রবনের অপর অংশে অ্যামোনিয়াম
হাইড্রোক্সাইড দ্রবণ যোগ করলে তাতে প্রথমে নীল অধঃক্ষেপ পরে এবং পরে এই অধঃক্ষেপ
দ্রবীভুত হয়ে গাঢ় নীল দ্রবণ সৃষ্টি করে। এ দ্রবণ Pt তারে স্পর্শ করে দীপ শিখায়
ধরলে সবুজ শিখার সৃষ্টি হয়।
ক) কোন ধরনের ধাতুর যৌগসমূহ
রঙ্গিন হয়?
খ) উদ্দীপকে বর্ণিত লবণটিতে উপস্থিত
অম্লীয় মূলক কি? সমীকরণশ বুঝিয়ে লিখ।
গ) শিখা পরীক্ষা ও পটাশিয়াম
ফেরোসায়ানেড পরীক্ষা উল্লেখ করে দেখাও যে, লবণে উপস্থিত ক্ষারকীয় মূলকটি কি?
ঘ) ধাতব আয়নের সাথে এর NH4OH বিক্রিয়া সমীকরণসহ লিখ। উদ্দীপকে উল্লেখিত দুটি জটিল যৌগের গঠন লিখ।
যৌগদুটিতে কি কি লিগ্যান্ড রয়েছে।
০৩. তুঁতে ও জিংক সালফেটের
মিশ্রনের জলীয়দ্রবনকে হাইড্রোক্লোরিক এসিড দ্বারা অম্লীয় করার পর হাইড্রোজেন
সালফাইড গ্যাস চালনা করা হয়। ফলে কালো অধঃক্ষেপ সৃষ্টি হয়। ফিল্টার করে অধঃক্ষেপ
অপসারণ করার পর প্রাপ্ত দ্রবনে অ্যামোনিয়াম হাইড্রোক্সাইড যোগে ক্ষারীকৃত করে ,
দ্রবণটিতে আবার হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস চালনা করা হয়। এবার সাদা অধঃক্ষেপ সৃষ্টি
হয়। উপরের কালো অধঃক্ষেপটি শিখা পরীক্ষায় সবুজ শিখা দেয়।
ক) উদ্দীপকে উল্লেখিত কালো ও
সাদা অধঃক্ষেপটি কি?
খ) দ্রাব্যতা গুনাংক কি?
বুঝিয়ে লিখ।
গ) প্রথমে কালো অধঃক্ষেপ পড়ার
কারণ উল্লেখ কর।
ঘ) ক্ষার মাধ্যমে সাদা
অধঃক্ষেপ পড়ে-কেন দ্রাব্যতা গুনাংকের সাহায্যে ব্যাখ্যা কর।